ইতিহাসঃ ইতিহাসের এক ভয়ংকর অধ্যায়, “গজনীর মাহমুদ" পার্ট- ৪ - Human Timelines Myth & History

Hot

Post Top Ad

Saturday, February 17, 2018

ইতিহাসঃ ইতিহাসের এক ভয়ংকর অধ্যায়, “গজনীর মাহমুদ" পার্ট- ৪

 
“মাহমুদের বর্বরতার সুদুর প্রসারী ফল”

পারস্য সম্রাট সাইরাস, আলেকজান্ডার, কুষান, আরবী এবং পরবর্তীতে তুর্কি দাস দের দ্বারাএকের পর এক আগ্রাসী আক্রমনের যে সমুহ ফল বৈদিক সনাতনি ভারতবর্ষের জন জীবনেপড়লো তার ফলে যে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংষ্কৃতিক পরিবর্তন হলো তার সঠিকমুল্যায়ন আজ অবধি হয়নি।
কি করে বৈদিক আফগানিস্তান (কেকয়, কম্বোজ এবং গান্ধার) আজ এক সম্পুর্ন ভিন্ন নিম্নমানের সংষ্কৃতির এবং ধর্মান্ধ সন্ত্রাসবাদীদের বিচরনস্থল হয়েছে তার ইতিহাস আমরা জেনেছি।আজ যে পাকিস্তান ঝড়তি পড়তি ভারতকে শেষ

করার খেলায় মেতেছে, নিউক্লিয়ার বোম দিয়ে উড়িয়ে দেবার কথা বলছে (আজই আমেরিকানসামরিক প্রধানের বক্তব্য পড়ুন) ওই অঞ্চল তো সিন্ধু এবং হিন্দু শাহী সাম্রাজ্যের অংশ ছিলো।যে বাংলাদেশে আজ উগ্রপন্থীরা সমবেত হচ্ছে সেটাই তো বৈদিক সনাতনী ছিলো। সে সবকোথায় হারিয়ে গেলো??? যে সামাজিক,অর্থনৈতিক এবং সাংষ্কৃতিক পরিবর্তন এই বৈদিকসনাতনী সভ্যতার জন্ম ভুমিতে হয়েছে সেই সার্বিক পরিবর্তন চীরস্থায়ী এবং মানব সভ্যতার ইতিহাসে অশ্রুতপুর্ব এবং অন্য কোনো উদাহরননেই।
উত্তর পশ্চিম ভারতবর্ষ তো অনেক আগেই চলে গেছে। পশ্চিম ভারত পাকিস্তান হয়ে গেছে। কাশ্মীর নিয়ে তো সমস্যার শেষ নেই। পুর্বভারতের এক বিশাল ভুমি বাংলাদেশ। পশ্চিমবাংলা ধুকছে।
সনাতনি দর্শন হিংসায় বিশ্বাসী নয়। সনাতনি সভ্যতা শান্তি সম্প্রতির কথা বলে। মানবিকতা সেখানেই, সমৃদ্ধি শান্তিতে ধ্বংসে নয়। এই চরমঐশ্বরিক কথা ওই অঞ্চলে আজ আর কেউ শুনতে পাবেন না কোনো দিন। নীল চাষীদের অপরে ব্রিটিশের অত্যচারের কথা আমরা “নীল দর্পন”জেনেছি। তার লেখক উত্তর ২৪ পরগনার নিমতলাতে (বনগাঁর কাছে ) জন্মে ছিলেন। তিনি যদি জানতেন, নীল চাষ আগেও হতো, তাহলেহয়তো আর একটি নাটক লিখতেন। মাহমুদ প্রতি বছর যে পরিমানে নীল নিজের জন্য নিয়ে যেতো এবং তার প্রভু খলিফার কাছে পাঠাতো তারহিসাব আছে “উথবী” র লেখাতে। সেই কথা লিখে এই ইতিহাস আর দীর্ঘায়িত করবো না। বেশী লিখলে কল্প কষ্টিত এবং অসত্য বলে অনেকেসমালোচনার ঝড় বইয়ে দেবেন জানি।
আসুন আমরা দেখি, মাহমুদের উত্তর পশ্চিম ভারতকে শ্মশান ভুমি করে দেবার পর, কি করে ‘জিহাদী তান্ডব’এসে পৌছালো খোদ দিল্লীতে।একেবারে সনাতনি ভারতের হৃদস্থলে। সেই কাহিনীও অতি করুন।। বুকে পাথর দিয়ে সেই কথা শুনুন। সেই ইতিহাসকেও আমাদের থেকেগোপন করে রাখা হয়েছে।ইতিহাস যুগে যুগে শাসকদের কথা মতোই লেখা হয়েছে বেশীর ভাগ সময়। খুব কম ঐতিহাসিক আছেন যারাসত্যবাদী। আমাদের দেশে রমেশ চন্দ্র মজুমদার, যদুনাথ সরকার, কে এস লাল ,শ্রী বাস্তবের লেখা কে পড়ে???
এখন তো রোমিলা থাপার, ইরফান হাবিবের দিন, এই দুজনেই বামপন্থী মতের প্রতিষ্ঠা করতে হিন্দু সভ্যতার ইতিহাস একেবারে চেপে গেছে ।শুধু তাই নয় বিকৃত করেছে। কারন আর কিছু নয়। চানক্য ই বলেছেন আর ইংরেজ ম্যাকুলে বলেছে, কোনো জাতিকে শেষ করতে হলে, পদানত রাখতে হলে বা নিজের মত চাপিয়ে দিতে চাইলে, প্রথম এবং অকৃত্রিম কাজ সেই জাতির ইতিহাস , সংষ্কৃতি, ধর্ম বিকৃত করা, গালাগালিদেওয়া, তাদের উপাসনা স্থল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া। যুগে যুগে অনেক মহামানব এই কাজ করেছেন। ভারতের হিন্দুদের ওপরে এই অভব্য কাজকরা হয়েছে সব থেকে বেশী।।
ইরফান হাবিব ই বলেছে "হিন্দুরা জামা কাপড় পরতে শিখেছে বিদেশীদের থেকে যারা ভারত শাসন করেছে"। আমাদের পুর্ব পুরুষরা সব তাহলেল্যাংটো থাকতো, তাই না???

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad